• যোগাযোগ
শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫
Analysis BD
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Home Post

জহির রায়হানের হত্যাকারীরাই বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারী

ডিসেম্বর ১৪, ২০২১
in Home Post, slide
জহির রায়হানের হত্যাকারীরাই বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারী
Share on FacebookShare on Twitter

অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক

স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার করছে বাংলাদেশ। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হচ্ছে। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যরা যখন পরাজিত হয়ে আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো ঠিক তখনই মাত্র ২ দিন আগে ১৪ ডিসেম্বর রাতে বাংলাদেশের সাংবাদিক, লেখক, চিকিৎসক, ডাক্তার ও শিক্ষকসহ প্রায় তিন শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়। তবে, বর্বর এই হত্যাকাণ্ডের ৪৭ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত এর প্রকৃতি রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। যদিও বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে বিএনপি জামায়াতের কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে।

কিন্তু, বুদ্ধিজীবী হত্যার মূল রহস্য জাতি আজ পর্যন্ত জানতে পারেনি। এক রহস্যজনক কারণে বর্বর এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।

এদিকে, ৪৭ বছর আগে সংঘটিত এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশিষ্টজনসহ সচেতন মানুষের মনে এখনও নানা প্রশ্ন রয়ে গেছে। এখনও অনেক প্রশ্নের জবাব পাচ্ছে না মানুষ।

জানা যায়, ১৪ ডিসেম্বর রাতে যেসব বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করা হয়েছিল তাদের অধিকাংশই ছিলেন চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত। ঐতিহাসিক তথ্য মতে, তাদের একজনও ভারত সমর্থক ছিলেন না। আর মুক্তিযুদ্ধের সময় চীন ছিল পাকিস্তানের পক্ষে। পাকিস্তানিরা চীনপন্থী বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করবে কেন? এমন প্রশ্নও বিরাজমান।

তারপর, ১০ ডিসেম্বরের পর থেকেই পুরো দেশ চলে যায় মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। বিশেষ করে মিত্রবাহিনী ভারতের সৈন্যরা তখন সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছিল। পরাস্ত পাকিস্তানি সৈন্যরা তখন নিজেদের জান বাঁচাতে ব্যস্ত। তাদের অবস্থা তখন ‘ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাঁচি’ অবস্থা। এ অবস্থায় বাসা-বাড়ি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ৩ শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে ধরে এনে হত্যা করার মতো শক্তি সামর্থ্য পাকিস্তানি সৈন্যদের ছিল কিনা এনিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। যেখানে পুরো দেশ ভারতীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে সেখানে পাকিস্তানি সৈন্যরা ঘরে ঘরে গিয়ে এত মানুষকে ধরে এনে হত্যাকাণ্ড চালানোর মতো সুযোগ থাকা এক প্রকার অসম্ভব।

এরপর গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হলো জহির রায়হানের মৃত্যুর ঘটনা। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যরা আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ করার পর ১৭ ডিসেম্বর থেকেই বুদ্ধিজীবী হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নেমে যান জহির রায়হান। ২২ ডিসেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয় জহির রায়হানকে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের এখানে ছোট একটি ঘরকে অফিস হিসেবে ব্যবহার করে তদন্ত শুরু করেন জহির রায়হান। এরপর থেকেই তার কাছে আসতে থাকে বুদ্ধিজীবী হত্যার বিভিন্ন তথ্য উপাত্য। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বিভিন্ন ধরণের ডকুমেন্ট নিয়ে জহির রায়হানের কাছে জমা দেন।

পরের বছর অর্থাৎ ৭২ সালের জানুয়ারির শেষ দিকে প্রেস ক্লাবের সামনে একটি সভায় রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্য করে জহির রায়হান বলেছিলেন, আপনারা যারা আজ বড় কথা বলছেন, নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করছেন তাদের রেকর্ড আমার কাছে আছে। আপনারা মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতায় গিয়ে কে কী করেছেন সব আমার জানা আছে। সময়মতো সব প্রকাশ করা হবে।

এ বক্তৃতা দেয়ার এক সপ্তাহ পর ৩০ জানুয়ারি নিখোঁজ হয়ে যান জহির রায়হান। জহির রায়হানের পরিবারের সদস্যদের দাবি, তিনি যখন বাসা থেকে বের হয়ে যান তখন তার সঙ্গে ভারতীয় একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ছিলেন।

জহির রায়হান দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বলে ওই সময় এমন কথা বলা হলেও এ কথা কেউ বিশ্বাস করেন নি। ওই সময় মুজিব বাহিনী আর ভারতীয় বাহিনীর আধিপত্য থাকায় এনিয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে পারেনি। তারপর খবর খবর ছড়িয়ে পড়েছিল যে, হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত আওয়ামী লীগ নেতাদের ডাটা জহির রায়হানের কাছে ছিল। এসব দলিল-দস্তাবেজ মুছে ফেলতেই পরিকল্পিতভাবে জহির রায়হানকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের আশঙ্কা ছিল জহির রায়হান এগুলো যেকোনো সময় প্রকাশ করে দিতে পারেন।

রাজনীতিক বিশ্লেষকসহ সচেতন মানুষ মনে করেন, জহির রায়হানকে যারা গুম করে হত্যা করেছিল তারাই ১৪ ডিসেম্বর রাতে বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করেছে। বুদ্ধিজীবীরা চীনপন্থী হওয়ায় ভারতের ধারণা ছিল, যেহেতু বুদ্ধিজীবীরাই একটি দেশের চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। তাই, তারা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ আবার যেকোনো সময় তাদের হাত থেকে চলে যেতে পারে। এজন্যই তারা বিজয়ের ২ দিন আগে বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করেছে।

কেউ কেউ বলছেন, ১৪ ডিসেম্বরই পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করতে চাচ্ছিলো। ভারতই এটাকে পিছিয়ে ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পনের দিন নির্ধারণ করেছিল। বিজয়ের দুইদিন আগে বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করতেই ১৪ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের তারিখ পরিবর্তন করে ভারত। কারণ, আত্মসমর্পণের পর বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করে এর দায় পাকিস্তানিদের ওপর চাপানো সম্ভব হবে না।

সম্পর্কিত সংবাদ

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা
Home Post

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র
Home Post

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫
জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা
Home Post

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫

Discussion about this post

জনপ্রিয় সংবাদ

  • ‘হেল্প সেল’ এর তৎপরতা বন্ধ করতেই ছাত্রদল নেতা নুরুকে হত্যা?

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • অনৈসলামিক কর্মকান্ড বন্ধে আল্লামা সাঈদীর ভূমিকা

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ৫০ হাজার টাকার বেতনেও চালেনা না সংসার

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • বসুন্ধরার মালিকের পরিবারে চাঞ্চল্যকর যত খুন

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫
জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫
মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫
ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫
  • Privacy Policy

© Analysis BD

No Result
View All Result
  • মূলপাতা
  • বিশেষ অ্যানালাইসিস
  • রাজনীতি
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • কলাম
  • ব্লগ থেকে

© Analysis BD