একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে দেশের প্রায় সবকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ইসির আমন্ত্রণে সংলাপে অংশ নিলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবসহ বেশ কয়েকজন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন কার্যালয়ে ওই সংলাপে উপস্থিত হয়ে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফ বলেছেন, বর্তমান ইসির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরপেক্ষতার প্রমাণ করা। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষ লোকদের ভোটের কাজে নিয়োজিত করা দরকার। সরকারি কর্মকর্তাদের দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, জনগণ হচ্ছে ভোটের মালিক। তারাই নির্বাচন করবে। সেখানে ডিসিও থাকবে না, এসপিও থাকবে না৷ তৃণমূল পর্যায়ে ভোটাররা যদি ভোট পরিচালনা করেন, তারাই যদি আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব নেয় তবে সেটাই ভালো। এজন্য প্রতি ৫০০ জন ভোটারের জন্য একটি করে স্থায়ী ভোটকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে৷ কারণ গণতন্ত্র ছাড়া আমাদের বাঁচার উপায় নাই।
সাবেক সিইসি এটিএম শামসুল হুদা নির্বাচনকালীন সরকার প্রসঙ্গে বলেন, যেহেতু এটা সংবিধান সংশোধনের বিষয়৷ যেহেতু সময় অনেক কম৷ তাই যে পরিবেশ আছে এর মধ্যে কিভাবে ভাল নির্বাচন করা যায় সে চেষ্টা করতে হবে৷
সাবেক সিইসি ছহুল হোসাইন বলেন, সব দলকে নির্বাচনে আনার জন্য ইসি উদ্যোগ নিতে পারে। আর যদি কোনো কারণে উদ্যোগ ব্যর্থ হয় তাহলে কমিশন এর দায় নেবে না।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ হিসাবে ২৬ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ১৬ জন উপস্থিত হয়েছেন।
সূত্র: মানবজমিন
Discussion about this post