মঙ্গলবার, অক্টোবর ২১, ২০২৫
Analysis BD
No Result
View All Result
No Result
View All Result
Analysis BD
No Result
View All Result
Home Top Post

সামিয়ার বিরুদ্ধে এবার এডওয়ার্ড সাঈদের লেখা চুরির অভিযোগ

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৭
in Top Post, জাতীয়
Share on FacebookShare on Twitter

শুধু মিশেল ফুকোই নয়, মার্কিন দার্শনিক অধ্যাপক এডওয়ার্ড সাঈদের একটি নিবন্ধ থেকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সামিয়া রহমান ও মাহফুজুল হক মারজান লেখা কপি করেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। সাঈদ একাডেমি অব প্যালেস্টাইন থেকে এ অভিযোগ করা হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে। সূত্রটি জানিয়েছে, এডওয়ার্ড সাঈদের ‘কালচার অ্যান্ড ইমপেরিয়ালিজম’ এর ‘টু ভিশন ইন হার্টনেস অব ডার্কনেস’, ‘কনসোলিডেটেড ভিশন’, এবং ‘ওভারলেপিং টেরোরিস্ট, ইন্টারউইন্ড হিস্টোরিস্ট’ আর্টিকেল থেকেও লেখা কপি করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান এবং ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষক মাহফুজুল হক মারজানের লেখা ‘এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার: এ কেস স্ট্যাডি অব দ্যা কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ আর্টিকেলের ৮৯, ৯০ ও ৯১ পৃষ্ঠায় এডওয়ার্ড সাঈদের ‘কালচার অ্যান্ড ইমপেরিয়ালিজম’ এর ৫, ৬, ৬৬, ৬৭, ৬৮ এবং ১১৯ নম্বর পৃষ্ঠা থেকে কপি করা হয়েছে।

এর আগে অভিযোগ ওঠে, ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর ‘দ্যা সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার’ নামের একটি আর্টিকেল থেকে সামিয়া রহমান ও মারজান লেখা চুরি করেছেন। ১৯৮২ সালের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল ‘ক্রিটিক্যাল ইনকোয়ারি’র ৪ নম্বর ভলিউমের ১৯ নম্বর পৃষ্ঠায় ফুকোর এই আর্টিকেলটি প্রকাশিত হয়েছিল। সামিয়া ও মারজানের আর্টিকেল ‘এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার: এ কেস স্ট্যাডি অব দ্যা কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ গত বছর ডিসেম্বরে ঢাবির সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান শুক্রবার বলেছেন, এই নিবন্ধটি লেখা থেকে শুরু করে প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত এর সঙ্গে তার কোনও সংশ্লিষ্টতাই ছিল না। যা করার তার সবই ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষক মারজান তাকে না জানিয়েই করেছেন। ঘটনার সব দায় তিনি মারজানের ওপরই চাপিয়েছেন। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে সামিয়া রহমানকে ফোন করা হলে তিনি তা ধরেননি। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের হেড অব কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স পদে কর্মরত রয়েছেন।

এডওয়ার্ড সাঈদের নিবন্ধ থেকে কিছু অংশ ব্যবহার করার বিষয়ে ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষক মাহফুজুল হক মারজান শনিবার বিকালে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অভিযোগ এলে তো কিছু বলার নাই। তদন্ত কমিটি তদন্ত করবে, আমাকে কমিটির মুখোমুখি হতে হবে। যা বলার সেখানেই বলবো। বিষয়টির সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান জড়িত। তদন্তাধীন বিষয়ে আমি এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’ সামিয়া রহমানের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তিনি হয়ত আমার ওপর রাগ করেছেন। তিনি তো আমার শিক্ষক, মায়ের মতো।’

এদিকে, প্রশ্ন উঠেছে প্রকাশিত নিবন্ধটি যারা রিভিউ করে প্রকাশের অনুমতি দিয়েছেন তাদের তদন্তের মুখোমুখি করা হবে কি না। কারণ, রিভিউয়ার নিবন্ধটি কিসের ভিত্তিতে প্রকাশের অনুমতি দিলেন সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সিন্ডিকেট সদস্য মাকসুদ কামাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘সামিয়া রহমান ও মারজানের বিরুদ্ধে কপি-পেস্টের যে অভিযোগ এসেছে, তার কোথায় কোথায় কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে কপি করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখবো। এটা খতিয়ে দেখতে এবং সঠিকভাবে তদন্তের স্বার্থে কমিটির সদস্যদের সম্মতিক্রমে যদি মনে হয় নিবন্ধটির শুধু লেখক নয়, রিভিউয়ার ও সম্পাদককেও তলব করা প্রয়োজন, তাহলে সেটা করবো।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শাওলী মাহবুব বলেন, ‘কোনও লেখক নিবন্ধ লিখতে অন্য কোনও লেখকের বক্তব্য বা তথ্য ব্যবহার করতেই পারেন। তবে অবশ্যই রেফারেন্সিংয়ের সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রেফারেন্সিংয়ের দুটি নিয়ম রয়েছে। একটি প্যারাফ্রেজিং এবং অন্যটি কোট। প্যারাফ্রেজিং পদ্ধতি হচ্ছে অপর লেখকের বক্তব্যের মূল অর্থ অপরিবর্তিত রেখে নিজের মতো করে লেখা। তবে সেই বক্তব্যের শেষে অবশ্যই সঠিক নিয়মে লেখকের নাম, সাল এবং পাতার নম্বর ব্যবহার করতে হবে। অন্যদিকে, কোট করে লিখতে হলে ওই লেখকের বক্তব্য হুবহু লিখে লেখক ও বইয়ের নাম কোটেশন মার্কের মধ্যে আবদ্ধ করতে হয়। তবে কোট বা প্যারাফ্রেজিং, যা-ই করা হোক অন্য লেখকের বক্তব্যটুকু উল্লেখ করার পর সাইডনোটে বা ফুটনোটে অথবা বইয়ের শেষে অ্যাপেন্ডিক্সে তথ্যসূত্র (সাইটেশন) উল্লেখ করতেই হবে। অন্যথায় তা চৌর্যবৃত্তির মধ্যে পড়বে।’

গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাবির সিন্ডিকেট গবেষণা ও নিবন্ধে লেখা চুরির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান এবং ক্রিমিনোলজি বিভাগের মাহফুজুল হক মারজান ছাড়াও ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তিন শিক্ষক রুহুল আমিন, নুসরাত জাহান ও বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

সম্পর্কিত সংবাদ

Home Post

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
Home Post

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫
Home Post

নারী কমিশনের রিপোর্ট বাতিল করতে হবে

এপ্রিল ৩০, ২০২৫

Discussion about this post

জনপ্রিয় সংবাদ

  • পাহাড়ে পরিকল্পিতভাবে বাঙালি উচ্ছেদ ও ডি ইসলামাইজেশন করা হচ্ছে

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • Trademark Web based poker Crazy Expensive diamonds Gambling enterprise Video slot Genuine Imitation Financial

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • অসুরের মুখে দাঁড়ি-টুপি : মুসলিম বিদ্বেষে সীমা ছাড়াল ভারত

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • বিতর্কিত আজিজের সাক্ষাৎকার নিয়ে লে. কর্নেল মুস্তাফিজের বিশ্লেষণ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0
  • ভাষা আন্দোলন ও এর ঘটনা প্রবাহ

    0 shares
    Share 0 Tweet 0

সাম্প্রতিক সংবাদ

রাষ্ট্রের রক্ষাকবচ না হয়ে রাজনীতির হাতিয়ার: গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ভূমিকা

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫

সন্ত্রাসের দুই মুখ: গাইবান্ধার সিজু হত্যা ও বসুন্ধরায় সামরিক ষড়যন্ত্র

আগস্ট ১০, ২০২৫

জুলাই বিপ্লব: গণআকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্ররূপান্তরের যুগসন্ধিক্ষণে রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী এবং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক দায় ও চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষা

মে ৩১, ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব

মে ২১, ২০২৫

ইশরাকের মেয়র হতে বাধা কোথায়?

মে ২১, ২০২৫

© Analysis BD

No Result
View All Result

© Analysis BD