প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতি নিয়েই চাল আমদানির জন্য মিয়ানমারে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম৷ তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে একদিকে ট্রেডও (বাণিজ্য) চলবে, অন্যদিকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কূটনৈতিক তৎপরতাও চলবে৷ আমরা এটাই বিশ্বাস করি৷ প্রধানমন্ত্রীও এটাই বলেছেন৷’
জাসদের সাংসদ নাজমুল হক প্রধানের করা এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী আজ রোববার জাতীয় সংসদে এসব কথা বলেন৷ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী৷
মিয়ানমার থেকে চাল আমদানির যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, দ্রুত চাল পাওয়া যাবে, এ চিন্তা থেকেই মিয়ানমারে চাল আনতে গেছেন তিনি৷ কারণ, থাইল্যান্ডসহ অন্য দেশ থেকে চাল আসতে বেশি সময় লাগে৷ মিয়ানমার থেকে আসতে তিন দিন লাগে৷ এ ছাড়া খরচও কম৷ ফলে এই চাল এলে দামও কমবে৷ তিনি জানান, মিয়ানমারের সঙ্গে তিন লাখ টন চাল আনার রফা হয়েছে৷ এখন ১ লাখ ২০ হাজার টন পাওয়া যাবে৷ দেশে চালের মূল্য এখন ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আছে বলেও মন্ত্রী দাবি করেন৷
জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে সরকারের আপৎকালীন মজুত কমে যাওয়ায় চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল ও পাঁচ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জি টু জি চুক্তির আওতায় এ পর্যন্ত ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল দেশে এসেছে৷ কম্বোডিয়া থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল ও রাশিয়া থেকে দুই লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি হচ্ছে। চার লাখ মেট্রিক টন চাল ও দেড় লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
সূত্র: প্রথম আলো
Discussion about this post